Wellcome to National Portal

Welcome to the website of Government Teachers’ Training College, Chittagong.

Main Comtent Skiped

History of college

দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের পেশাগত প্রশিক্ষণ প্রদানে ১৪টি সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের মধ্যে টিচার্স ট্রেনিং কলেজ চট্টগ্রাম অন্যতম। পুঁথিগত জ্ঞানার্জনের সাথে সাথে কর্মক্ষেত্রে প্রকৃত অর্থে কর্মদক্ষতা অর্জনের জন্য পেশাগত প্রশিক্ষণ অন্যতম শর্ত। টিচার্স ট্রেনিং কলেজসমূহে বি.এ. ও এম.এড. কোর্সের মাধ্যমে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের জন্য জ্ঞান, দক্ষতা, প্রজ্ঞা অর্জনের পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে তাঁদেরকে আতœপ্রত্যয়ী ও দক্ষ শিক্ষক হিসাবে গড়ে তোলার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এ প্রতিষ্ঠানটি ১৯৫৮ সালে নর্মাল স্কুল হিসাবে যাত্রা শুরু করে সর্বপ্রথম পর্তুগীজ পাহাড়ে তথা বর্তমান চট্টগ্রাম কলেজের পশ্চিম পাশের পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত চট্টগ্রাম সরকারি স্কুলের স্থলে। ১৯৫৮ সালের ১ জুলাইয়ে এ’টি জুনিয়র ট্রেনিং কলেজ-এ রূপান্তরিত হয়। পরবর্তীতে কুমিল্লা বোর্ড আই.এড. কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি দেয়। ১৯৭২ সালের ২০ আগস্টে ৩ বছর মেয়াদী বি.এ.-ইন-এডুকেশন কোর্স চালু হয়। ১৯৭৭ সালটি ছিল এ কলেজের এক স্মরণীয় বর্ষ। সে বছরের ১ জুলাই থেকে ১০ মাস মেয়াদী বি.এড. কোর্স চালুর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি কলেজ হিসাবে পূর্ণতা পায়। এটি ছিল অত্র এলাকা তথা বৃহত্তর চট্টগ্রামের জনগণের প্রাণের আকাংখা। তখন থেকেই এটি পূর্ণাঙ্গ টিচার্স ট্রেনিং কলেজের মর্যাদা লাভ করে এবং বাকলিয়ায় বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৯৪ সালে অন্যান্য ট্রেনিং কলেজগুলির সাথে সাথে এ কলেজেও ডাবল শিফ্ট এর কার্যক্রম শুরু হলে বি.এড. কোর্সে প্রায় দ্বিগুণ প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। ১৯৯৬ সালটি ছিল এ কলেজের জন্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ বছরের জুলাই থেকে এম.এড. কোর্সে প্রশিক্ষণার্থী ভর্তির অনুমতি দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। কলেজ সংলগ্ন মাধ্যমিক শিক্ষা ও বিজ্ঞান উন্নয়ন কেন্দ্রে ১৯৮৭ সাল থেকে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে স্বল্প মেয়াদী কোর্স পরিচালিত হয়ে আসত।
প্রতি বছর জুলাই থেকে ১০ মাস মেয়াদী বি.এড. ও এম.এড. কোর্সে প্রশিক্ষণার্থীরা ভর্তি হতো। ২০০৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে বি.এড. কোর্স এর মেয়াদ এক বৎসরে উন্নীত করা হয় এবং কারিকুলামে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়। বর্তমানে বি.এড. ও এম.এড. উভয় কোর্সই ১ বছর মেয়াদি এবং প্রতি বছর জানুয়ারিতে প্রশিক্ষণার্থীরা ভর্তি হন।
বি.এড. কোর্সে ৬টি আবশ্যিক, ২টি নৈর্বাচনিক এবং ১টি বিষয় ঐচ্ছিক হিসাবে নিতে হয়। এম.এড. কোর্সে ৪টি আবশ্যিক, ২টি নৈর্বাচনিক বিষয় এবং সে সাথে গবেষণা বিষয়টি নেওয়ার সুযোগ আছে। নিয়মিত শিক্ষক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন সহপাঠক্রমিক কার্যক্রমেরও ব্যবস্থা আছে।এগুলির মধ্যে বার্ষিক ক্রীড়া, অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া, বার্ষিকী প্রকাশ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, নাটক মঞ্চায়ন, বৃক্ষরোপন, শিক্ষা সফর, বিতর্ক, মিলাদ মাহফিল, রক্তদান কর্মসূচি অন্যতম। ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসমূহ পরিচালনার জন্য হাউস গঠন করা হয়। এছাড়া শিক্ষাবর্ষের শুরুতে নির্দলীয় ও প্যানেলবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
কলেজের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রমের জন্য রয়েছে ৩টি ভবন। ১টি পুরুষ হোস্টেল, ১টি মহিলা হোস্টেল ও বিজ্ঞান উন্নয়ন কেন্দ্রের ১টি হোস্টেল রয়েছে। অধ্যক্ষ ভবন সহ সর্বমোট ০৫ জন শিক্ষকের আবাসন সুবিধা আছে। কলেজের ২টি মাইক্রোকার আছে। কলেজে ওয়াই-ফাই সুবিধাসহ আইসিটি ল্যাব আছে। ক্ষুদ্র পরিসরে একটি লাইব্রেরিতে আছে। প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ক্ষুদ্র পরিসরের একটি ক্যাফেটেরিয়াও আছে। নিরাপত্তার স্বার্থে কলেজে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। কোন অডিটোরিয়াম না থাকায় সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী সম্পাদনে বেশ অসুবিধা হয়। তাছাড়া বর্তমান প্রশাসনিক ভবনটি যেমন সংস্কার বা পুন: নির্মাণ দরকার তেমনি ক্লাসরুমগুলোরও আধুনিকায়ন প্রয়োজন। 

সাম্প্রতিককালে TQI, ELTIP, SESIP,SEQAEP, ICT Project, LSBE, Disaster Management, Autism ইত্যাদি প্রকল্পের মাধ্যমে কলেজের প্রশিক্ষণের মান নানাভাবে সমৃদ্ধ করার প্রয়াস অব্যাহত আছে।
কলেজে বর্তমানে সুদক্ষ অধ্যক্ষের নেতৃত্বে ৩২ জন অধ্যাপকমন্ডলী ও কর্মকর্তা প্রশাসনিক ও পাঠদান কার্যক্রমে ব্যাপৃত আছেন। ২৩ জন ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীও কর্মরত আছেন।
শত অসুবিধা, জনবল, ও ভৌত কাঠামোর অপ্রতুলতা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা ও আন্তরিক প্রয়াসের ফলে এতদঞ্চলের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক গড়ার কাজে তথা দেশ ও জাতির জন্য আদর্শ শিক্ষক গড়ে তুলতে স্বত: নিয়োজিত থেকে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও বিকাশ সাধনে এ প্রতিষ্ঠানটি বদ্ধ পরিকর।